বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ।

 বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ।বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাপনের বৈচিত্র্যে অসীম। দেশের ৬৪টি জেলা প্রত্যেকটি অনন্য। ঢাকার ব্যস্ত শহর, লালবাগ কেল্লা ও শহীদ মিনারসহ ঐতিহাসিক স্থানগুলো ইতিহাসপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয়। চট্টগ্রামের পাহাড়, বন্দর ও সবুজ বন দর্শনপ্রিয়। কক্সবাজারের বিশাল সমুদ্র সৈকত, ইনানী ও হিমছড়ি পর্যটকদের জন্য স্বর্গসদৃশ। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, ম্যানগ্রোভ বন এবং নদী, হাওর ও বিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটনকে সমৃদ্ধ করে। সিলেট ও মৌলভীবাজারের চা বাগান, পাহাড় ও ঝর্ণা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রাজশাহী “আমের শহর” হিসেবে পরিচিত, বরিশাল ও ভোলার নদী ও হাওর দর্শনীয়।
বাংলাদেশের-৬৪-জেলার-দর্শনীয়-স্থান-সমূহ
রংপুর, নাটোর, পাবনা, বগুড়া ও গাইবান্ধার সবুজ মাঠ, গ্রামীণ জীবন এবং ঐতিহ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। দেশের গ্রামীণ হাট, স্থানীয় খাবার এবং নদী তীরবর্তী জীবন ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে। আমরা এই আর্টিকেলে প্রকৃতি, ঐতিহ্য, নদী, পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, হাওর, চা বাগান এবং গ্রামীণ জীবন এই সমস্ত বৈচিত্র্য মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা পর্যটকদের জন্য আলাদা গল্প বলে। প্রতিটি জেলায় রয়েছে নিজস্ব রূপ, স্বাদ এবং অভিজ্ঞতা। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণ মানেই নতুন গল্প, নতুন সৌন্দর্য এবং অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান।

ঢাকা

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং দেশের প্রধান শহর। এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আধুনিকতার মিশ্রণ প্রদর্শন করে। লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল এবং শহীদ মিনার শহরের প্রধান দর্শনীয় স্থান। হাতিরঝিল এবং ধানমন্ডি লেক শহরের ব্যস্ততা কাটানোর জন্য উপযুক্ত। পুরান ঢাকার সড়ক ও বাজার পর্যটকদের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর এবং মিউজিয়ামগুলো শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ভরপুর। স্ট্রিট ফুড, কফি শপ এবং রেস্টুরেন্টের বৈচিত্র্য ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। শহরের নদী ও পার্কগুলো পর্যটকদের জন্য বিশ্রামের সুযোগ দেয়। ঢাকা শুধু প্রশাসনিক কেন্দ্র নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আধুনিক জীবনধারার মিলনস্থল।

গাজীপুর

গাজীপুরের বিশাল বন, প্রকৃতি আর শান্ত পরিবেশ ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান, যেখানে ঘন জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী দেখা যায়। নুহাশ পল্লী শিল্প সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য এক মনোমুগ্ধকর ভ্রমণস্থল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে কাছ থেকে হরিণ, বাঘসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখার সুযোগ আছে। মাওনা ও চন্দ্রা এলাকার রিসোর্টগুলো বিশ্রাম আর ছুটির জন্য আদর্শ। স্থানীয় বাজার, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং গ্রামীণ পরিবেশ ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে। রাজধানীর কাছে হওয়ায় গাজীপুরে যাতায়াত সহজ, তাই এটি জনপ্রিয় এক দিনের ভ্রমণস্থান।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রধান বন্দর নগরী এবং পাহাড়ি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য পরিচিত। ফয়স লেক, কাপ্তাই লেক এবং বান্দরবান পাহাড় প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয়। চট্টগ্রামের নয়া কবরস্থান এবং প্রাচীন মসজিদ ইতিহাসপ্রেমীদের মনকে মুগ্ধ করে। শহরের নদী, পাহাড় এবং সবুজ বন ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে। পর্যটকরা স্থানীয় হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের খাবারের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতির স্বাদ নিতে পারেন। নৈসর্গিক দৃশ্য, সূর্যাস্ত এবং পাহাড়ি এলাকা চট্টগ্রামের প্রধান আকর্ষণ। 

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার চা বাগান, পাহাড়ি পথ আর সবুজ প্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। শ্রীমঙ্গলকে বলা হয় দেশের চা রাজধানী, যেখানে চোখজুড়ানো বাগান সারি সারি বিস্তৃত। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে হাঁটাহাঁটি করলে নানা পাখি আর বন্যপ্রাণীর দেখা মিলে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এখানে ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর একটি। চা শ্রমিকদের গ্রাম ও সংস্কৃতি পর্যটকদের আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। সাতরঙা চা, স্থানীয় খাবার এবং বাজার ঘোরাও আনন্দ বাড়ায়। প্রকৃতি, পাহাড় আর চা বাগানের সৌন্দর্য মিলিয়ে মৌলভীবাজার নিখুঁত ভ্রমণ গন্তব্য।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ চা বাগান, নদী আর সবুজ পাহাড়ি পরিবেশের জন্য পরিচিত। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এখানে ভ্রমণকারীদের জন্য বড় আকর্ষণ, যেখানে শান্ত বনপথে হাঁটার মজা আছে। চুনারুঘাটের চা বাগানগুলো চোখজুড়ানো সৌন্দর্য উপহার দেয়। বানিয়াচং গ্রামকে বলা হয় এশিয়ার অন্যতম বড় গ্রাম ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভরপুর। পুরাতন জমিদারবাড়ি, স্থাপনা এবং গ্রামের সৌন্দর্য পর্যটকদের মন ভরায়। নদীর ধারে বসে সময় কাটানো, নৌকা ভ্রমণ আর স্থানীয় খাবার ভ্রমণকে আরও মজাদার করে। প্রকৃতি, ঐতিহ্য আর শান্ত পরিবেশ মিলিয়ে হবিগঞ্জ চমৎকার ভ্রমণ গন্তব্য।

সিলেট

সিলেট পার্বত্য এলাকা, চা বাগান এবং ঝর্ণার জন্য পরিচিত। জাফলং নদীর পাথরের দৃশ্য, লালাখাল নদী এবং মাধবকুণ্ড ঝর্ণা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। সিলেট শহরের মসজিদ, মন্দির এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করায়। ওয়াজিরাবাদ পাহাড় ও ধর্মপাশার হ্রদ প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য দর্শনীয়। স্থানীয় চা বাগান ও গ্রামীণ জীবন পর্যটনের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে। সিলেট শহরের রাস্তা, বাজার এবং স্থানীয় খাবারের বৈচিত্র্য ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে। 

কক্সবাজার

কক্সবাজার জেলা সমুদ্র সৈকতের জন্য বিশ্বের পরিচিত। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজারে পর্যটকরা ইনানী বিচ, হিমছড়ি ঝর্ণা, মহেশখালী দ্বীপ এবং রামু পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্য, সমুদ্রের ঢেউ এবং শান্ত সমুদ্রের ধারে হাঁটাহাঁটি ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। নৌকা ভ্রমণ, স্থানীয় মাছ ও মাংসের স্বাদ এবং গ্রামীণ জীবনের অভিজ্ঞতা কক্সবাজার ভ্রমণকে অসাধারণ করে তোলে। এছাড়াও স্থানীয় বাজারগুলোতে শপিং এবং সি ফুডের স্বাদ ভ্রমণকারীদের মন ভরিয়ে দেয়। সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি এলাকা এবং গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশের মিলন কক্সবাজারকে পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দেয়। এখানে ভ্রমণ মানেই প্রকৃতির সৌন্দর্য, শান্তি এবং আনন্দ একসাথে অনুভব করা।

খুলনা

খুলনা জেলার প্রধান আকর্ষণ হলো সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এখানে বাঘ, হরিণ, সাপ এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। কুতুবদিয়া দ্বীপ, মোশাররফ হ্রদ এবং নদী তীরবর্তী গ্রামও দর্শনীয়। সুন্দরবনের নৌকা ভ্রমণ প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আনন্দদায়ক। শহরের স্থানীয় বাজার এবং হোটেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক। নদী, বন এবং গ্রামীণ জীবন খুলনাকে পর্যটনের জন্য উপযুক্ত করে। 

বাগেরহাট

বাগেরহাট ঐতিহ্য, ইতিহাস আর সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। ষাট গম্বুজ মসজিদ এখানে সবচেয়ে পরিচিত স্থাপনা, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য। খানজাহান আলীর সমাধি ও দারগাহ এলাকাটিও দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করে। দারুচিনি বাগান, নদীপথ আর শান্ত গ্রামের পরিবেশ ভ্রমণে বিশেষ অভিজ্ঞতা দেয়। সুন্দরবনের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে বন্যপ্রাণী ও বনভ্রমণের সুযোগও রয়েছে। স্থানীয় বাজার, ঐতিহ্যবাহী খাবার আর গ্রামীণ জীবন ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে। ইতিহাস, প্রকৃতি আর সংস্কৃতি মিলিয়ে বাগেরহাট একটি অসাধারণ ভ্রমণস্থান। 

রাজশাহী

রাজশাহী জেলা বাংলাদেশের একটি সুন্দর ও পরিচিত জেলা, যা আমের শহর নামে বিখ্যাত। এখানে আমের বাগান, সবুজ মাঠ এবং নদী তীরবর্তী গ্রাম পর্যটকদের জন্য মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপহার দেয়। পুঠিয়া রাজবাড়ি, প্রাচীন মন্দির এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয়। গঙ্গাচড়া হ্রদ এবং পটুয়াখালী নদীর ধারে বিশ্রাম নেওয়া ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। শহর এবং গ্রাম মিলিয়ে রাজশাহী প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং গ্রামীণ জীবনের অনন্য সমন্বয় উপস্থাপন করে স্থানীয় হাট, বাজার এবং সুস্বাদ। 

বরিশাল

বরিশাল নদী, খাল এবং সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে ভরা একটি সুন্দর জেলা।নভোলা ও বেতাগী নদী, জাজিরা গ্রাম পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। নদীর ধারে নৌকা ভ্রমণ ভ্রমণকে আনন্দময় করে। গ্রামীণ জীবন, সবুজ মাঠ এবং সরল পরিবেশ মনকে প্রশান্তি দেয়। স্থানীয় হাট বাজারে তাজা মাছ ও খাবারের বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ইতিহাসের গল্প বলে। বরিশাল ঘুরে দেখা মানে নদী, প্রকৃতি এবং গ্রামের সরল জীবন একসাথে উপভোগ করা। 

রংপুর

রংপুরে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ সৌন্দর্য মিলেমিশে আছে। তাজহাট জমিদারবাড়ি এখানে অন্যতম দর্শনীয় স্থান। নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজের কাছে নদীর সৌন্দর্য মন ছুঁয়ে যায়। রংপুর চিড়িয়াখানা পরিবার নিয়ে ঘোরার জন্য ভালো জায়গা। স্থানীয় লালশাক, মিষ্টান্ন ও খাবার ভ্রমণের স্বাদ বাড়ায়। শান্ত পরিবেশ, খোলা মাঠ ও গ্রামীণ জীবন মনকে আনন্দ দেয়। রংপুর সহজ যাতায়াত সুবিধার কারণে ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয়। 

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম নদী, চরভূমি আর বিশাল সবুজ প্রকৃতির জন্য পরিচিত। তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর দৃশ্য এখানে ভ্রমণকারীদের মন কেড়ে নেয়। রৌমারী ও রাজিবপুরের চরাঞ্চল প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। চিলমারীর নদীপথ ও ঘাট এলাকা ভ্রমণের জন্য বেশ জনপ্রিয়। গাছগাছালি, ধানখেত আর শান্ত গ্রামীণ জীবন এখানে ভ্রমণকে আরও সুন্দর করে। স্থানীয় বাজার, মাটির হাঁড়ি পাতিল আর দেশি খাবারের স্বাদ ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ দেয়। প্রকৃতি দেখতে চাইলে কুড়িগ্রাম একটি একদম শান্ত, সুন্দর ও মনভরানো জেলা।

ময়মনসিংহ 

ময়মনসিংহ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। শিমুলিয়ার ক্যানোপি, শ্রীপুর লেক এবং বৃত্তাকার মঠ দর্শনীয় স্থান। নদী তীরবর্তী গ্রাম এবং সবুজ মাঠ ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে। গ্রামীণ জীবন ও শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মন শান্ত করে। শহরের ছোট বাজারে স্থানীয় পণ্য এবং খাবারের বৈচিত্র্য পাওয়া যায়। হোটেল এবং যাতায়াতের সুবিধা ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক করে। ময়মনসিংহ ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, ইতিহাস এবং গ্রামীণ সরলতা একসাথে উপভোগ করা। 

কুমিল্লা

কুমিল্লা জেলা ইতিহাস, প্রকৃতি ও সংস্কৃতিতে ভরা একটি সুন্দর স্থান। এখানে প্রাচীন দুর্গ, মসজিদ এবং পাহাড়ি এলাকা দর্শনীয়। গঙ্গার তীরবর্তী গ্রাম এবং সবুজ মাঠ ভ্রমণকারীদের মনোমুগ্ধ করে। গ্রামীণ জীবন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ভ্রমণকে আনন্দময় করে তোলে। শহরের রাস্তা, হোটেল সুবিধা এবং স্থানীয় খাবারের স্বাদ ভ্রমণকে সমৃদ্ধ করে। স্থানীয় হাট বাজারে কৃষিজ পণ্য ও ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী পাওয়া যায়। কুমিল্লা ঘুরে দেখা মানে ইতিহাস, প্রকৃতি এবং গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা।

যশোর

যশোর নদী, সবুজ মাঠ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার জন্য পরিচিত। চিত্রা নদী, হরিনাথ মন্দির এবং বিভিন্ন প্রাচীন মসজিদ পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। শহরের ছোট বাজার ও স্থানীয় খাবার ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে। গ্রামীণ জীবন এবং নদীর ধারে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা। যশোরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি একসাথে মিলিয়ে এখানে ভ্রমণ সমৃদ্ধ হয়।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এখানকার ম্যানগ্রোভ বন আর বন্যপ্রাণী ভ্রমণকারীদের টানে। কেশবপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি ঐতিহ্যের নিদর্শন। নদীর ধারের বাতাস আর নীরব প্রকৃতি মন ভালো করে দেয়। স্থানীয় সামুদ্রিক খাবার ও ঐতিহ্যবাহী রান্না পর্যটকদের আকর্ষণ করে।সুন্দরবন ভ্রমণের নৌযাত্রা পর্যটনের প্রধান আনন্দ। শান্ত পরিবেশ সাতক্ষীরাকে আরামদায়ক গন্তব্য বানায়।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ জেলা নদী, সবুজ মাঠ এবং পাহাড়ি সৌন্দর্যে ভরা। নদীর ধারে গ্রামীণ জীবন এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মন ছুঁয়ে দেয়। স্থানীয় গ্রাম এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য ভ্রমণকে আনন্দময় করে তোলে। ছোট বাজারে স্থানীয় পণ্য এবং খাবারের বৈচিত্র্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পুরোনো হোটেল এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ইতিহাসের গল্প বলে। নদী তীরবর্তী জীবন এবং গ্রামীণ সংস্কৃতি ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে। ঝিনাইদহ ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা। 

ঝালকাঠি

ঝালকাঠি নদী, সবুজ মাঠ এবং বিলের জন্য পরিচিত একটি সুন্দর জেলা। নদীর ধারে গ্রামীণ জীবন এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নদী তীরবর্তী গ্রাম ভ্রমণকে আনন্দময় করে। ঝালকাঠির সমুদ্র সৈকত, ছোট দ্বীপ এবং বিলগুলো দর্শনীয়। নৌকা ভ্রমণ, মাছ ধরা এবং স্থানীয় খাবারের স্বাদ ভ্রমণকে সমৃদ্ধ করে। স্থানীয় হাট বাজারে ঐতিহ্যবাহী পণ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ঝালকাঠি ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন এবং নদীর সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা।

পিরোজপুর

পিরোজপুর জেলা নদী, সবুজ বন এবং ঝর্ণার সৌন্দর্যে ভরা। ভান্ডারিয়ার নদীপথ পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। চরাঞ্চলের শান্ত পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকে আনন্দময় করে। নদীর ধারে বসে সময় কাটানো মনকে প্রশান্তি দেয়। স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে মাছের পদ ভ্রমণকে আরও স্বাদবর্ধক করে। পাকা ফল ও কৃষিজ পণ্য জেলার বৈচিত্র্য তুলে ধরে। পিরোজপুর ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, নদী এবং গ্রামীণ জীবন একসাথে উপভোগ করা। 

ভোলা

ভোলা জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ জেলা হিসেবে পরিচিত। আকাশপাইনা সৈকত, হাটিরপুল এবং নদী তীরবর্তী গ্রাম দর্শনীয় স্থান। নদী ও সমুদ্রের মিলনে তৈরি প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে। সবুজ মাঠ এবং গ্রামীণ জীবন মনকে শান্তি দেয়। স্থানীয় বাজারে তাজা মাছ ও খাবারের স্বাদ ভ্রমণকে সমৃদ্ধ করে। নৌকা ভ্রমণ এবং নদী তীরের সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। ভোলা ঘুরে দেখা মানে সমুদ্র, নদী এবং গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা।

বরগুনা

বরগুনা জেলা নদী, সবুজ বন, সমুদ্র সৈকত এবং গ্রামীণ পরিবেশে ভরা। নদী তীরবর্তী গ্রাম এবং শান্ত গ্রামীণ জীবন পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। সবুজ মাঠ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য ভ্রমণকে আনন্দময় করে। স্থানীয় হাট বাজারে তাজা মাছ এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়। মাছ ধরা ও নৌকা ভ্রমণ এখানে বিশেষ আকর্ষণ। পুরোনো স্থাপনা এবং গ্রামীণ সংস্কৃতি ভ্রমণকে সমৃদ্ধ করে। বরগুনা ঘুরে দেখা মানে নদী, সমুদ্র এবং গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা।

নীলফামারী

নীলফামারী প্রকৃতি ও সবুজের শহর হিসেবে পরিচিত। চা বাগান, পাহাড়ি এলাকা এবং নদী তীরবর্তী গ্রাম পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। সবুজ মাঠ, গ্রামীণ রাস্তা এবং শান্ত পরিবেশ ভ্রমণকে আনন্দময় করে। স্থানীয় হাট বাজারে কৃষিজ পণ্য ও খাবারের বৈচিত্র্য দেখা যায়। নদী ও পাহাড়ের সৌন্দর্য ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত স্থান। গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতির মিলন ভ্রমণকারীদের মনে দারুণ ছাপ রাখে। নীলফামারী ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা।

দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলা ইতিহাস, সংস্কৃতি আর প্রকৃতির মিলনে ভরা। প্রাচীন দিনাজপুর কেল্লা ও শিব মন্দির পর্যটকদের আকর্ষণ করে। নদী তীরবর্তী গ্রাম, সবুজ মাঠ ও গ্রামীণ জীবন ভ্রমণকে মনোরম করে। শহরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ইতিহাসের গল্প বলে। স্থানীয় হাট বাজারে কৃষিজ পণ্য ও খাবারের বৈচিত্র্য দেখা যায়। নদীর ধারে হাঁটা ও নৌকা ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে। দিনাজপুর ঘুরে দেখা মানে ইতিহাস, প্রকৃতি এবং গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা।

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও শান্ত পরিবেশ, সবুজ মাঠ ও বড় বড় বাগানের জন্য পরিচিত কাবিলপুর জমিদারবাড়ি ইতিহাসপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। রামরেজা লজ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সবুজ কৃষিজমি আর সরু গ্রামীণ রাস্তা মনকে শান্ত করে। এখানকার খেজুরের গুড় শীতকালে বেশ জনপ্রিয়। স্থানের মানুষ ও জীবনযাপন ভ্রমণকারীদের সাথে সহজেই মানিয়ে যায়। ঠাকুরগাঁও প্রকৃতির শান্তিতে ভরপুর একটি জেলা।

নরসিংদী

নরসিংদী নদী, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও গ্রামীণ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। মনোহরদীর জমিদারবাড়ি ইতিহাসের নিদর্শন বহন করে। মেঘনা নদীর ধারে নৌভ্রমণ ভ্রমণকারীদের জন্য উপভোগ্য। জেলার তাঁত শিল্প ও হস্তশিল্প মানুষকে আকর্ষণ করে। সবুজ মাঠ ও গ্রামীণ পথ মনকে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যায়। স্থানীয় খাবার ও ফলমূল বেশ জনপ্রিয়। নরসিংদী শান্ত পরিবেশের জন্য পরিবারসহ ভ্রমণে আদর্শ।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যে ভরা। কুলিকাডাঙ্গা জলপ্রপাত, ভাওয়াল পাহাড় এবং ঐতিহাসিক মসজিদ দর্শনীয় স্থান। নদী, সবুজ মাঠ এবং গ্রামীণ পরিবেশ ভ্রমণকারীদের মন কেড়ে নেয়। পাহাড়ি এলাকা এবং ছোট নদী প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয়। স্থানীয় হাট বাজারে তাজা খাবার ও কৃষিজ পণ্য ভ্রমণকে সমৃদ্ধ করে। নদী তীরবর্তী গ্রাম ভ্রমণে বিশেষ আনন্দ যোগ করে। কিশোরগঞ্জ ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, ইতিহাস এবং গ্রামের সরল জীবন একসাথে উপভোগ করা। 

মাগুরা

মাগুরা জেলা গ্রামীণ সৌন্দর্য ও ইতিহাসে ভরপুর। নদী, সবুজ মাঠ এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকে আনন্দময় করে। পুরোনো স্থাপনা এবং মসজিদ ইতিহাসের গল্প বলে। গ্রামীণ জীবন ও স্থানীয় সংস্কৃতি ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে। নদীর ধারে বসে সময় কাটানো মনকে প্রশান্তি দেয়। স্থানীয় হস্তশিল্প এবং ফলমূল কেনার সুযোগ আছে। মাগুরা ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, ইতিহাস এবং গ্রামের সরলতা একসাথে উপভোগ করা।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা জেলা নদী, সবুজ মাঠ এবং গ্রামীণ পরিবেশে ভরা। নদী তীরবর্তী গ্রাম পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। গ্রামীণ জীবন এবং শান্ত পরিবেশ ভ্রমণকে আনন্দময় করে তোলে। স্থানীয় হাট বাজারে কৃষিজ পণ্য এবং খাবারের বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। ছোট বাজার এবং শহরের সরল জীবন দর্শনীয়। নদীর ধারে বসে সময় কাটানো মনকে প্রশান্তি দেয়। চুয়াডাঙ্গা ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন এবং নদীর সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা।

যশোর

যশোর জেলা নদী, সবুজ মাঠ এবং গ্রামীণ সৌন্দর্যে ভরা। চিত্রা নদী এবং হরিনাথ মন্দির পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। নদী তীরবর্তী গ্রাম এবং শান্ত গ্রামীণ জীবন ভ্রমণকে আনন্দময় করে। নৌকা ভ্রমণ এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয়। স্থানীয় হাট-বাজারে তাজা খাবার এবং ঐতিহ্যবাহী পণ্য দেখা যায়। গ্রামীণ সংস্কৃতি এবং সরল জীবন ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে। যশোর ঘুরে দেখা মানে নদী, ইতিহাস এবং গ্রামের সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ জেলা নদী, পাহাড়ি এলাকা এবং সবুজ মাঠে ভরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ ভ্রমণকারীদের মন কেড়ে নেয়। গ্রামীণ জীবন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। ছোট নদী এবং নদী তীরবর্তী গ্রাম দর্শনীয়। স্থানীয় হাট বাজারে তাজা খাবার এবং কৃষিজ পণ্য পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকা এবং সবুজ মাঠ ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত। ঝিনাইদহ ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন এবং নদীর সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা।
বাংলাদেশের-৬৪-জেলার-দর্শনীয়-স্থান-সমূহ

খুলনা

খুলনা জেলা সুন্দরবন, কুতুবদিয়া দ্বীপ এবং মোশাররফ হ্রদের জন্য বিখ্যাত। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ এবং নানা প্রজাতির পাখি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। নদী, বন এবং সবুজ প্রকৃতি ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে। গ্রামীণ জীবন এবং শান্ত পরিবেশ মনকে প্রশান্তি দেয়। স্থানীয় হাট-বাজারে তাজা মাছ ও খাবারের বৈচিত্র্য দেখা যায়। হোটেল এবং যাতায়াতের সুবিধা ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক করে। খুলনা ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, বনজ জীবন এবং নদীর সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা।

পটুয়াখালী

পটুয়াখালী সমুদ্র, সৈকত ও দ্বীপের সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। কুয়াকাটা এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একই জায়গা থেকে দেখা যায়। নদী, খাল ও উপকূলীয় প্রকৃতি ভ্রমণকে উপভোগ্য করে। স্থানীয় সামুদ্রিক খাবার পর্যটকদের পছন্দের। নৌভ্রমণ এখানকার প্রধান আনন্দ। পটুয়াখালী শান্তিপূর্ণ উপকূল ভ্রমণের আদর্শ স্থান।

মেহেরপুর

মেহেরপুর জেলা নদী, সবুজ মাঠ এবং গ্রামীণ সৌন্দর্যে ভরা। নদী তীরবর্তী গ্রাম এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকারীদের মন কেড়ে নেয়। গ্রামীণ জীবন এবং শান্ত পরিবেশ ভ্রমণকে আনন্দময় করে। স্থানীয় হাট বাজারে তাজা খাবার ও কৃষিজ পণ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পুরোনো স্থাপনা এবং গ্রামের সংস্কৃতি ইতিহাসের গল্প বলে। নদীর ধারে বসে সময় কাটানো মনকে প্রশান্তি দেয়। মেহেরপুর ঘুরে দেখা মানে প্রকৃতি, নদী এবং গ্রামের সরল জীবন একসাথে উপভোগ করা।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সাহিত্য, গান আর সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবহ অনেক স্থান এখানে পর্যটকদের টানে। গড়াই নদীর ধারে বসে শান্ত পরিবেশ উপভোগ করা ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে। সবুজ মাঠ, গ্রামীণ রাস্তা আর নদীর বাঁক,সব মিলিয়ে কুষ্টিয়ার প্রকৃতি খুবই মনোরম। স্থানীয় হাট বাজারে লালন সঙ্গীত, হস্তশিল্প আর ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়। লালন একাডেমি ও কুঠিবাড়ি সাংস্কৃতিক ভ্রমণে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। সহজ যাতায়াত আর ভালো থাকার ব্যবস্থা থাকার কারণে কুষ্টিয়া ঘুরে দেখতে সুবিধাজনক

রাজবাড়ী

রাজবাড়ী শান্ত প্রকৃতি, নদী আর গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্যে ভরপুর একটি জেলা। পদ্মা নদীর তীরের হাওয়া ও নৌভ্রমণ পর্যটকদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। জেলার বিভিন্ন পুরোনো জমিদারবাড়ি ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ইতিহাসপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। সবুজ মাঠ, গ্রামীণ রাস্তা আর গাছপালায় ভরা পরিবেশ মনকে প্রশান্ত করে। স্থানীয় হাট বাজারে কৃষিজ পণ্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবার সহজেই নজর কেড়ে নেয়। গ্রামীণ উৎসব, লোকসংগীত এবং সরল জীবনযাপন ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে। সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা থাকার কারণে রাজবাড়ী ঘুরে দেখা সবার জন্য সুবিধাজনক।

রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটি পাহাড়, লেক আর সবুজের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত। কাপ্তাই লেকের নৌভ্রমণ এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণ। ঝুলন্ত সেতু, সাজেক ভ্যালি এবং উপজাতীয় জীবন ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। চারপাশের সবুজ পাহাড় ও নীরব প্রকৃতি মনকে শান্ত করে। স্থানীয় আদিবাসী বাজার থেকে হস্তশিল্প কেনার সুযোগ আছে। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ, জীবনধারা ও খাবার পর্যটনের আনন্দ বাড়ায়।
রাঙ্গামাটি প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য।

শরিয়তপুর

শরিয়তপুর নদীমাতৃক সৌন্দর্য ও গ্রামীণ জীবনযাপনের জন্য পরিচিত। পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিলন এলাকা ভ্রমণকারীদের মন কাড়ে। জেলার বিভিন্ন পুরোনো মসজিদ ও প্রত্নস্থল ইতিহাসের স্মারক। সবুজ মাঠ, সরু রাস্তা আর কাঁচা ঘরের দৃশ্য মনকে শান্ত করে। স্থানীয় হাটে তাজা মাছ ও কৃষিজ পণ্য পাওয়া যায়। নৌভ্রমণ এখানে পর্যটনের অন্যতম আনন্দ। শরিয়তপুরের সরলতা ও শান্ত পরিবেশ ভ্রমণকে উপভোগ্য করে।

শেরপুর

শেরপুর সবুজ পাহাড়, নদী এবং বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত। ঘুঘুরাকান্দা ও গারো পাহাড় ভ্রমণকারীদের প্রধান আকর্ষণ। জেলার বনাঞ্চলে নীরব প্রকৃতি উপভোগের সুযোগ আছে। স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতি ও খাবার পর্যটকদের আগ্রহ জাগায়। নদীর ধারে আরাম করে বসা মনকে প্রশান্ত করে। শেরপুরের গ্রামীণ পরিবেশের সরলতা দারুণ মনোমুগ্ধকর। শান্ত প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ নদী, চর এলাকা ও ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্পের জন্য পরিচিত। যমুনা নদীর তীরের সৌন্দর্য সত্যিই মনকাড়া। বঙ্গবন্ধু সেতু জেলার প্রধান আকর্ষণ। এখানকার তাঁত শিল্প ভ্রমণকারীদের কৌতূহল বাড়ায়। চরের সবুজ, নদীর শীতল হাওয়া মানসিক প্রশান্তি দেয়। স্থানীয় খাবার ও নৌভ্রমণ এখানে বিশেষ আনন্দের। সিরাজগঞ্জের ইতিহাস ও প্রকৃতি একসঙ্গে ভ্রমণকে স্মরণীয় করে।

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ হাওর, পাহাড় ও নীল আকাশের অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা। টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণকারীদের স্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতা দেয়। বারেক টিলা, মেঘালয়ের সীমান্তরেখা দারুণ দর্শনীয়। নৌকায় হাওর পাড়ি দেওয়া এখানকার প্রধান ভ্রমণ আকর্ষণ। জেলার লোকসংগীত ও সংস্কৃতি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বর্ষায় সুনামগঞ্জের সৌন্দর্য আরও বেড়ে ওঠে। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটি অসাধারণ একটি গন্তব্য।

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মধুপুর বন, নদী ও সবুজ প্রকৃতি ভ্রমণকারীদের টানে। মধ্যদেশীয় বনভূমির সৌন্দর্য মধুপুরকে আলাদা করে তোলে। জামার্না এলাকা ও পিকনিক স্পট পরিবার নিয়ে ঘোরার জন্য উপযুক্ত। টাঙ্গাইলের বিখ্যাত রসগোল্লা ও চমচম ভ্রমণকে মিষ্টি করে তোলে। জেলার হাট-বাজারে কাঁথা ও হস্তশিল্প জনপ্রিয়। গ্রামীণ জীবনযাপন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। টাঙ্গাইলের সহজ যোগাযোগব্যবস্থা ভ্রমণকে সুবিধাজনক করে।

নওগাঁ

নওগাঁর প্রাচীন সভ্যতা, মন্দির ও প্রত্নস্থল ইতিহাসপ্রেমীদের আকর্ষণ করে।  পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এখানে সবচেয়ে পরিচিত দর্শনীয় স্থান।সবুজ মাঠ, নদী আর গ্রামীণ প্রকৃতি ভ্রমণকারীদের মন শান্ত করে। স্থানীয় চাল,ডাল ও গ্রামীণ খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। জনমানবহীন চরাঞ্চল নীরব প্রকৃতি উপভোগের দারুণ জায়গা। জেলার হাট-বাজারে কৃষিজ পণ্যের বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। নওগাঁ একদিনের ট্যুর বা পরিবার নিয়ে ঘোরার জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশের-৬৪-জেলার-দর্শনীয়-স্থান-সমূহ

নাটোর

নাটোরের রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন এখানে প্রধান আকর্ষণ। শান্ত সবুজ পরিবেশ ও পুরোনো স্থাপত্য ইতিহাসপ্রেমীদের টানে। রানীনগর ও নাটোরের দই ভ্রমণে স্বাদ বাড়ায়। নাটোরের গ্রামীণ জীবন ও মাঠঘেরা রাস্তা মনকে শান্ত করে। এখানকার পুকুরপাড় ও বাগান এলাকা ছবির মতো সুন্দর। স্থানীয় হাটে তাজা কৃষিপণ্য সহজেই নজর কেড়ে নেয়। নাটোর ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ সরবরাহ করে।

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ শিল্পনগরী হলেও ভ্রমণের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। পানাম নগর এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে বসে সময় কাটানো দারুণ অভিজ্ঞতা। জেলার পুরোনো মসজিদ ও স্থাপত্য ইতিহাসের রঙ ফুটিয়ে তোলে। স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে বিরাণি ও মিষ্টি খুব বিখ্যাত। শপিং ও নৌভ্রমণ পর্যটকদের আনন্দ বাড়ায়। ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় সহজেই ঘুরে দেখা যায়।

নেত্রকোনা

নেত্রকোনা পাহাড়ি ঝরনা, হাওর ও সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরা। বিরিশিরি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা। সাদা মাটির পাহাড়, নীল জল আর নীরবতা মনকে মুগ্ধ করে। আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ভ্রমণে আনন্দ যোগ করে। স্থানীয় খাবার ও হাওরের মাছ বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বর্ষায় হাওর এলাকা আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। নেত্রকোনা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য।

নীলফামারী

নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান। বিস্তীর্ণ নদী, বাতাস আর সবুজ প্রকৃতি মনকে প্রশান্ত করে। চা বাগান ও গ্রামীণ প্রকৃতি ভ্রমণকে উপভোগ্য করে তোলে। জেলায় পুরোনো জমিদার বাড়িগুলো ঐতিহ্যের প্রতীক। শীতকালে খেজুরের রস ও স্থানীয় মিষ্টি বেশ বিখ্যাত। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা দারুণ অভিজ্ঞতা। নীলফামারী শান্ত পরিবেশে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে প্রিয়।

নড়াইল

নড়াইল শিল্পী এস এম সুলতানের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। এখানকার আর্ট গ্যালারি ও সংগ্রহশালা ভ্রমণে বিশেষ গুরুত্ব পায়। চিত্রা নদীর সৌন্দর্য মনকে শান্ত করে। গ্রামীণ রাস্তা, সবুজ মাঠ ও নদীতীর ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে। স্থানীয় বাজারে হস্তশিল্প পাওয়া যায়। মাছের পদ ও গ্রামীণ রান্না খাবারের স্বাদ বাড়ায়। নড়াইল শিল্প, প্রকৃতি ও ইতিহাসের সুন্দর সমন্বয়।

নোয়াখালী

নোয়াখালী নদী, চর এবং উপকূলীয় প্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। চার কুতুব, নিঝুম দ্বীপ এবং মেঘনা নদী এখানে আকর্ষণীয় স্থান। নিঝুম দ্বীপে হরিণ দেখা ভ্রমণের বিশেষ আনন্দ। স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খুব জনপ্রিয়। চরের সবুজ আর শান্ত পরিবেশ মনকে আরাম দেয়। নৌভ্রমণ পর্যটকদের প্রধান আনন্দ। নোয়াখালী প্রকৃতি ও নীরবতা পছন্দ করা মানুষের জন্য আদর্শ।

পাবনা

পাবনা নাট্যচর্চা, শিক্ষা ও ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। ইশ্বরদীর রূপপুর ও হেমায়েতপুরের ঐতিহাসিক স্থান নজরকাড়া। লালন শাহ সেতু পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগের দারুণ স্থান। জেলার পুরোনো জমিদারবাড়ি ইতিহাসের গল্প বলে। সবুজ মাঠ, নীরব প্রকৃতি ও নদীর বাতাস মনকে শান্ত করে। স্থানীয় দই ও মিষ্টি খুব জনপ্রিয়। পাবনা পরিবারসহ ঘোরার জন্য আদর্শ জেলা।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় দেশের সর্বউত্তরের জেলা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। চা বাগান, নদী ও শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে। এখানকার পাথরের খনি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ পরিচিত। শীতকালে কুয়াশার সৌন্দর্য অপূর্ব। স্থানীয় খাবার ও গরম পানীয় খুব জনপ্রিয়। পঞ্চগড় প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মতো।

ফেনী

ফেনী পাহাড়, নদী ও ঐতিহ্যের মিলনে পরিচিত। পরশুরামের পাহাড়ি এলাকা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। ফেনী নদীর ধারে বসে প্রকৃতি উপভোগ করা যায়। জেলার পুরোনো মসজিদগুলো ইতিহাসের সাক্ষী। স্থানীয় খাবার ও মিষ্টি ভ্রমণের স্বাদ বাড়ায়। হাট বাজারে বিভিন্ন হস্তশিল্প পাওয়া যায়। ফেনী শান্ত, সুন্দর ও ছোট্ট জেলার অভিজ্ঞতা দেয়। 

জামালপুরের

জামালপুরের বিস্তীর্ণ নদীভূমি, চর আর সবুজ মাঠ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। যমুনা নদীর তীর এখানে শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর দারুণ জায়গা। শহরের পুরনো স্থাপনা আর মসজিদগুলো ইতিহাসের ছোঁয়া দেয়। মেলান্দহের জাদুঘর ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঘুরে দেখার মতো। চরাঞ্চলে নৌকাভ্রমণ এবং গ্রামীণ জীবন পর্যটকদের আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। স্থানীয় বাজারে দেশি খাবার আর হস্তশিল্প ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করে। প্রকৃতি, ইতিহাস আর গ্রামীণ সৌন্দর্য মিলিয়ে জামালপুর শান্তিপূর্ণ ভ্রমণের উপযুক্ত স্থান।

ফরিদপুর

ফরিদপুর নদীমাতৃক জেলা, ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। শেখ রাসেল শ্মশানঘাট ও জমিদারবাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। গোপালগঞ্জ-ফরিদপুর সড়কের সবুজ প্রকৃতি মনকে আরাম দেয়। স্থানীয় পাট শিল্প ও হস্তশিল্প বেশ জনপ্রিয়। পদ্মা নদীর তীরের বাতাস ভ্রমণকে আনন্দময় করে। খাবারের মধ্যে মিষ্টি ও দই বিখ্যাত। ফরিদপুর সহজ যোগাযোগ সুবিধার জন্য সুবিধাজনক।

বান্দরবান

বান্দরবান পাহাড়, ঝরনা ও ট্রেকিং স্পটের জন্য বিখ্যাত। নীলগিরি ও নাফাখুম এখানকার বড় আকর্ষণ। বগালেকের নীল পানির সৌন্দর্য মনকে মুগ্ধ করে। আদিবাসীদের জীবনযাপন ও খাবার ভ্রমণে বৈচিত্র্য আনে। পাহাড়ি রাস্তা ও কুয়াশা অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। ঝরনার পানি ও নীরব পরিবেশ প্রকৃতি প্রেমীদের টানে। বান্দরবান ট্রেকিং ও অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আদর্শ।

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি পাহাড়, ঝরনা আর সবুজ প্রকৃতির জন্য ভ্রমণপ্রেমীদের স্বর্গ এখানকার শান্ত পাহাড়ি পথ আর মনোরম আবহাওয়া মনকে সতেজ করে আলুটিলা গুহা খাগড়াছড়ির অন্যতম আকর্ষণ, যা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেয়। রিসাং ঝরনা আর দেবতার পুকুর পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়। মারমা ও চাকমাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এখানে ঘুরে দেখার মতো। স্থানীয় বাজারে পাহাড়ি খাবার ও হস্তশিল্প ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। প্রাকৃতিক নীরবতা আর পাহাড়-জঙ্গল মিলিয়ে খাগড়াছড়ি এক অনন্য ভ্রমণস্থান।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুর নদী, চর এবং গ্রামীণ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। মেঘনা নদীর তীরের দৃশ্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। চরাঞ্চলের নীরব প্রকৃতি ভ্রমণকারীদের আনন্দ দেয়। স্থানীয় ফলমূল ও খাবার বেশ জনপ্রিয়। মসজিদ ও পুরোনো স্থাপনা ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। নৌভ্রমণ এখানে বিশেষ আনন্দের। লক্ষ্মীপুর গ্রামীণ প্রকৃতি ভালোবাসা মানুষের জন্য উপযুক্ত।

মাদারীপুর

মাদারীপুর নদীমাতৃক জেলা, শান্ত পরিবেশে ভরা। শীতলার চর ও নদীতীর ভ্রমণে খুব আকর্ষণীয়। স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে মাছের পদ খুব জনপ্রিয়। গ্রামীণ রাস্তা ও সবুজ প্রকৃতি মনকে শান্ত করে। ইতিহাসবাহী প্রত্নস্থল ভ্রমণে বৈচিত্র্য আনে। হাট বাজারে তাজা কৃষিপণ্য পাওয়া যায়। সহজ যাতায়াত সুবিধার জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।

মেহেরপুর

মেহেরপুর মুক্তিযুদ্ধের প্রথম অস্থায়ী সরকারের জন্মস্থান। আম্রকানন ও সবুজ বাগান ভ্রমণে দারুণ লাগে। স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে এখানে অনেক কিছু দেখার আছে। শান্ত পরিবেশ ও গ্রামীণ প্রকৃতি মনকে আরাম দেয়। স্থানীয় ফলমূল ও খাবার বেশ বৈচিত্র্যময়। পথের ধারের প্রকৃতি ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত। মেহেরপুর ইতিহাস ও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য উপযুক্ত।

মুনশিগঞ্জ

মুনশিগঞ্জ নদী, বারী ও পুরোনো দুর্গের জন্য পরিচিত। ইদ্রাকপুর কেল্লা এখানে সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান। পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর ধারের পরিবেশ শান্ত ও সুন্দর। জেলার গ্রামীণ জীবন ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে। স্থানীয় মাছের পদ খুব জনপ্রিয়। নৌভ্রমণ এখানে প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। মুনশিগঞ্জ ঢাকার কাছে হওয়ায় সহজেই ঘোরা যায়।

লালমনিরহাট

লালমনিরহাট নদী, সীমান্ত এলাকা ও শান্ত পরিবেশে ভরপুর। তিস্তা নদীর ধারের সৌন্দর্য দারুণ মনোমুগ্ধকর। গ্রামীণ রাস্তা, মাঠ আর কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল ভ্রমণকারীদের টানে। জেলার পুরোনো মসজিদ ও স্থাপনা দেখার মতো। স্থানীয় ফলমূল ও খাবার বেশ জনপ্রিয়। শীতকালে পাখি দেখা বিশেষ আকর্ষণ। লালমনিরহাট প্রকৃতির সান্নিধ্য ভালোবাসা মানুষদের জন্য আদর্শ।

গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ শান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদী আর সবুজ গ্রামের জন্য পরিচিত। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। মধুমতি নদীর সৌন্দর্য ভ্রমণে এনে দেয় বিশেষ প্রশান্তি। উঁচু নিচু গ্রামীণ পথ আর ধানক্ষেত এই জেলার আলাদা সৌন্দর্য প্রকাশ করে। স্থানীয় মন্দির, মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ঘুরে দেখা যায়। বাজারের দেশি খাবার ও ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ জীবন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। শান্ত পরিবেশ আর সহজ যাতায়াত গোপালগঞ্জকে একটি মনোরম ভ্রমণস্থানে পরিণত করেছে।

শেষ কথা/বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ 

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা যেন নিজস্ব সৌন্দর্য আর গল্প নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও পাহাড়, কোথাও নদী, আবার কোথাও ইতিহাসের গর্ব সবই মিলে আমাদের দেশকে করে তুলেছে আরও বৈচিত্র্যময় ও মনোমুগ্ধকর। ভ্রমণপ্রেমীরা চাইলে প্রতিদিনই নতুন কিছু দেখার আনন্দ খুঁজে পেতে পারেন এই ছোট্ট দেশেই। প্রকৃতি, মানুষ, খাবার আর সংস্কৃতি সব মিলে বাংলাদেশ সত্যিই এক রঙিন ভ্রমণভূমি। 

শেষ পর্যন্ত একটাই কথা দেশকে জানো, দেশকে ভালোবাসো, আর নিজের চোখে দেখে নাও বাংলাদেশের লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যগুলো। এই আর্টিকেলে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ, পড়ে যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন এবং আমার এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বারী বিডি আইটি র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url