কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড
এই আর্টিকেলে আমরা জানাবো কীভাবে কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে যাওয়া যায়, কোন
রুটে ভ্রমণ করলে খরচ কম হয়, কোথায় থাকা যায়, কী ধরনের খাবার খাওয়া যায় এবং কীভাবে
নিরাপদে ভ্রমণ করা যায়।
সূচিপত্রঃ কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড।
- কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড
- ভারতীয় ভিসা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের গাইড
- বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণের খরচের হিসাব
- কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য সেরা সময় কোনটা
- কাশ্মীরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান ও ঘোরার জায়গা
- কাশ্মীরে থাকার ব্যবস্থা: সস্তা হোটেল ও হাউসবোট
- কাশ্মীর ভ্রমণে খাবার ও স্থানীয় বিশেষ খাবারের স্বাদ
- কাশ্মীর ভ্রমণে যাতায়াতের সুবিধা ও গাইড
- ভ্রমণে নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় টিপস
- শেষ কথাঃ কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড
কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর যেতে হলে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। তাই সাধারণত ঢাকা থেকে
দিল্লি হয়ে শ্রীনগরে যাওয়া হয়। সবচেয়ে দ্রুত উপায় হলো ঢাকা দিল্লি শ্রীনগর রুটে
ফ্লাইট বুক করা। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন দিল্লির
উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছাড়ে। সেখান থেকে আবার দিল্লি থেকে শ্রীনগরে যেতে ১.৫ ঘণ্টার
মতো সময় লাগে।
যাদের বাজেট সীমিত তারা চাইলে ঢাকা থেকে কলকাতা গিয়ে ট্রেনে দিল্লি যেতে পারেন।
তবে এ রুটে সময় বেশি লাগে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে ট্রেনে লাগে প্রায় ৪০ ঘণ্টা।
পরে দিল্লি থেকে আবার ট্রেন বা ফ্লাইটে শ্রীনগর যেতে হবে। যত আগে টিকিট
বুক করবেন তত খরচ কমবে। অনেক এয়ারলাইনস আগে থেকে বুকিং করলে ২০ হেকে ৩০%
পর্যন্ত ছাড় দেয়। তাই ভ্রমণের পরিকল্পনা আগেই করে টিকিট নিশ্চিত করে রাখা
সবচেয়ে ভালো।
ভারতীয় ভিসা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের গাইড।
বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে।
অনলাইনে Indian Visa Application Center IVAC এর ওয়েবসাইটে ফর্ম পূরণ করে আবেদন
করা যায়।
যা যা লাগবেঃ
বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
সাম্প্রতিক ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)
শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
চাকরির প্রমাণপত্র বা ব্যবসার লাইসেন্স
ফিরতি টিকিট ও হোটেল বুকিং এর কপি
ভিসা ফি সাধারণত ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকা। প্রসেসিং সময় ৭ থেকে ১০ দিন। কেউ চাইলে
এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে পারেন, তবে নিজেও সহজেই আবেদন করা সম্ভব। সব
কাগজপত্র সঠিক থাকলে ভিসা পাওয়া নিয়ে কোনো ঝামেলা হয় না। তাই ভ্রমণের
পরিকল্পনার সাথে সাথে ভিসার কাজ শুরু করাই সবচেয়ে ভালো।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণের খরচের হিসাব।
অনেকে মনে করেন কাশ্মীর ভ্রমণ খুব ব্যয়বহুল, কিন্তু পরিকল্পনা করলে খরচ অনেকটা
নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
গড়ে একজন ভ্রমণকারীর ৫ দিনের ট্রিপে খরচ হবেঃ
ঢাকা থেকে দিল্লি রিটার্ন ফ্লাইটঃ ২৩,০০০ থেকে ২৮,০০০ টাকা
দিল্লি থেকে শ্রীনগর রিটার্ন ফ্লাইট: ৯,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা
হোটেল ভাড়া ৫ রাতঃ ৭,০০০ থেকে ৯,০০০ টাকা
খাবারের খরচ: ৬,০০০ টাকা
লোকাল ট্রান্সপোর্টঃ ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা
দর্শনীয় স্থান ও টিকিটঃ ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা
সব মিলিয়ে খরচ দাঁড়ায় আনুমানিক ৪৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা। যদি গ্রুপে যাওয়া হয়
তবে গাড়ি ও হোটেলের খরচ ভাগাভাগি করে খরচ আরও কমানো যায়। অফ,সিজনে গেলে টিকিট ও
হোটেল ভাড়ায় ভালো ডিসকাউন্ট মেলে।
কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য সেরা সময় কোনট।
কাশ্মীর ভ্রমণের সঠিক সময় বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত মার্চ থেকে মে
মাস পর্যন্ত সময়টা কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য সেরা। এ সময়ে ফুলে,ফলে ভরে যায়
উপত্যকা। আবার ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন সময়ে এখানে বরফ পড়ে,
তখন কাশ্মীর হয়ে ওঠে একেবারে সাদা চাদরে ঢাকা স্বর্গরাজ্য।
যদি কেউ বরফ উপভোগ করতে চান তবে শীতকালে যাওয়া ভালো। তবে গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া
মিষ্টি ও মনোরম থাকে, তাই ঘোরাঘুরি সহজ হয়। বর্ষাকাল জুলাই,আগস্ট এড়িয়ে চলাই
ভালো, কারণ তখন বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গা ভ্রমণে সমস্যা হতে পারে। তাহলে বলা
যায়, মার্চ,মে বা ডিসেম্বর,ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়
কাশ্মীরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান ও ঘোরার জায়গা।
কাশ্মীরকে প্রায়ই পৃথিবীর স্বর্গ বলা হয়। এখানে অনেক সুন্দর জায়গা আছে, যা
ভ্রমণকারীদের অবশ্যই দেখা উচিত। প্রতিটি জায়গার নিজস্ব সৌন্দর্য এবং অভিজ্ঞতা
রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
(ডাল লেক) ডাল লেক হলো কাশ্মীরের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেক। এখানে
ভ্রমণকারীরা শিকারা নৌকায় ভ্রমণ করে নীরব জলরাশির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
লেকের ধারে হাউসবোটে রাত কাটানোও একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। পাখি, ফুল এবং পাহাড়ের
প্রতিফলন লেককে এক অসাধারণ দৃশ্য দেয়।
(গুলমার্গ) গুলমার্গ হলো স্কি করার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। বরফে ঢেকে থাকা পাহাড়
এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। গুলমার্গের গন্ডোলা রাইডে বসে
পুরো উপত্যকা দেখা যায়। শীতকালে এখানে স্কি, স্লেজিং এবং বরফের খেলাধুলা করতে
পারা যায়।
(পাহেলগাম) পাহেলগাম পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। সবুজ বন, খোলা
উপত্যকা এবং হিমবাহের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ভ্রমণকারীদের মন ভরে দেয়। এখানে
ট্রেকিং, কনভিকশন ওয়াক এবং ফটোশুটের জন্য অনেক সুন্দর জায়গা আছে।
(সোনমার্গ) সোনমার্গের মানে সোনালি উপত্যকা। এটি পাহাড়, বরফ এবং
নদীর মিলনস্থল। এখানে চারপাশ সবুজ উপত্যকা আর বরফে ঢাকা পাহাড় একসাথে দেখতে খুব
সুন্দর লাগে। বিশেষ করে শীতকালে বরফে ঢাকা সোনমার্গ ভ্রমণকারীদের জন্য এক
স্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতা দেয়।
(শঙ্করাচার্য মন্দির ও মুঘল গার্ডেনস) শঙ্করাচার্য মন্দির হলো এক
প্রাচীন ধর্মীয় স্থান। পাহাড়ের চূড়ায় বসানো এই মন্দির থেকে পুরো শ্রীনগর
উপত্যকা সুন্দরভাবে দেখা যায়। মুঘল গার্ডেনস কাশ্মীরের ইতিহাস এবং সৌন্দর্যের
প্রতীক। এখানে সুন্দর ফুলের বাগান, সবুজ মাঠ এবং পুরনো স্থাপত্য ভ্রমণকারীদের
মন জয় করে।
কাশ্মীরে থাকার ব্যবস্থাঃ সস্তা হোটেল ও হাউসবোট।
কাশ্মীরে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরণের অপশন রয়েছে। যারা বাজেট ভ্রমণকারী, তারা
প্রতিদিন ১২,০০০ থেকে ১,৭০০ টাকার মধ্যে গেস্টহাউস বা হোটেলে থাকতে পারবেন।
এছাড়া হাউসবোটও খুব জনপ্রিয়। ডাল লেকের হাউসবোটে থাকা অনেক ভ্রমণকারীর স্বপ্ন।
যারা একটু ভালো মানের হোটেল খুঁজছেন তাদের জন্য প্রতি রাতের ভাড়া ৪,০০০ থেকে
৬,০০০ টাকার মধ্যে। গ্রুপে গেলে রুম শেয়ার করে খরচ অনেকটা কমানো যায়। অফ,সিজনে
গেলে হোটেল বুকিং সস্তায় পাওয়া যায়।
কাশ্মীর ভ্রমণে খাবার ও স্থানীয় বিশেষ খাবারের স্ব।
কাশ্মীরের খাবারের স্বাদ একেবারেই আলাদা। এখানকার খাবার শুধু ভোজন নয়, বরং এক
ধরনের সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। তেলের কম ব্যবহার, মশলার ব্যালান্স এবং বাদাম,কেশর
জাতীয় উপকরণের ব্যবহার কাশ্মীরি খাবারকে অনন্য করে তোলে।
(রোগান জোশ) রোগান জোশ হলো কাশ্মীরের সবচেয়ে বিখ্যাত মাংসের কারি। মূলত
ভেড়া বা বকরের মাংস দিয়ে বানানো হয়। এতে ব্যবহৃত হয় কেশর, দারুচিনি, এলাচ,
লবঙ্গ এবং অন্যান্য মশলা, যা মাংসকে নরম, সুগন্ধি এবং রঙিন করে তোলে। রোগান জোশ
সাধারণত গরম ভাত বা নান,এর সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর স্বাদ সমৃদ্ধ, মশলাদার
কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল নয়।
আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
(কাশ্মীরি পোলাও) কাশ্মীরি পোলাও হলো এক ধরনের সুগন্ধি ভাত, যা
শুকনো ফল যেমন কিশমিশ, বাদাম, কিশমিশ এবং পেস্তা দিয়ে রান্না করা হয়। এখানে
একটু দারুচিনি, এলাচ এবং হালকা কেশর মিশিয়ে ভাতকে স্বাদ ও রঙে অনন্য করা হয়।
কাশ্মীরি পোলাও সাধারণত রোগান জোশের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি খাবারে হালকা
মিষ্টি স্বাদ এবং দারুণ সুগন্ধ যুক্ত করে।
(কাবাব) কাশ্মীরের কাবাব হলো ছোট ছোট মশলাদার মাংসের টুকরো, যা
আগুনে গ্রিল করা হয়। মশলার মধ্যে কেশর, দারুচিনি, কালো মরিচ, লবণ এবং দই
ব্যবহার করা হয়। কাবাব বাইরে থেকে হালকা খাস্তা এবং ভিতর থেকে নরম হয়। এটি
সাধারণত সস বা হালকা সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় চা বা দুপুরের
হালকা খাবারে কাবাবের স্বাদ অনেক মজা দেয়।
(কাহওয়া চা) কাশ্মীরি কাহওয়া চা এক ধরনের গরম চা, যা সকালে বা
বিকেলে শরীরকে উষ্ণ রাখতে ব্যবহার হয়। এটি বাদাম, কেশর, দারুচিনি এবং লবণ বা
চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। কাহওয়া চায়ের বিশেষত্ব হলো এর সুবাস এবং স্বাদ, যা
একবার খেলে মিষ্টি, মশলার মিশ্রণ মুখে দীর্ঘক্ষণ থাকে। শীতকালে কাহওয়া চা
খাওয়ার আনন্দ আলাদা।
(খাবারের খরচ) কাশ্মীর ভ্রমণে সাধারণ রেস্টুরেন্টে প্রতিদিনের খাবারের
খরচ গড়ে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা। তবে যদি স্ট্রিট ফুড বা ছোট রেস্টুরেন্টে খাওয়া
যায়, খরচ আরও কমে যায়, এবং একই সঙ্গে স্থানীয় স্বাদও উপভোগ করা যায়।
কাশ্মীর ভ্রমণে যাতায়াতের সুবিধা ও গাইড।
কাশ্মীরে ঘোরাঘুরির জন্য গাড়ি ভাড়া করাই সবচেয়ে ভালো। লোকাল ট্যাক্সি, অটো
কিংবা শেয়ারড জিপও পাওয়া যায়। দিনে গাড়ি ভাড়া করতে খরচ হয় ২,৭০০ থেকে ৩,০০০
টাকা, তবে গ্রুপে গেলে খরচ ভাগ হয়ে কমে যায়।
এছাড়া অনেক ট্যুরিস্ট ট্রাভেল এজেন্সি ডে টুর অফার করে। চাইলে আগে থেকে বুকিং
দিয়ে নিতে পারেন।
ভ্রমণেনিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় টিপস।
কাশ্মীরে ভ্রমণের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে ভ্রমণ হবে নিরাপদ এবং আরামদায়ক।
বিশেষ করে নতুন দেশ বা জায়গায় গেলে সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
(ভিসা ও পাসপোর্ট সবসময় সঙ্গে রাখুন)
ভ্রমণের সময় ভিসা এবং পাসপোর্ট সবসময় হাতে রাখুন। এগুলো হারালে বা ভুল জায়গায়
রাখলে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই পকেটে বা হ্যান্ডব্যাগে একটি নিরাপদ জায়গায়
রাখুন। বিকল্পভাবে, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আলাদা রাখলে
জরুরি সময় কাজে লাগে।
(হোটেল বুকিং আগে থেকে নিশ্চিত করুন)
ভ্রমণের আগে হোটেল বা গেস্ট হাউস বুকিং নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকে বুক
করলে হোটেল খালি না থাকার ঝুঁকি কমে। এছাড়া অফ,সিজনে বা উৎসবের সময় হোটেল ভাড়া
অনেক বাড়তে পারে, তাই আগে থেকে কনফার্ম করলে সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে।
(স্থানীয় আইন ও নিয়ম মেনে চলুন)
কাশ্মীর ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন এবং সামাজিক নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি।
প্রকাশ্যে অতিরিক্ত শব্দ করা, অযথা ছবি তোলা বা কোন নিষিদ্ধ এলাকায় যাওয়া
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। স্থানীয়দের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করলে সমস্যা হয় না এবং
ভ্রমণ আরও মসৃণ হয়।
(অচেনা লোকের সঙ্গে অযথা বেশি মিশবেন না)
ভ্রমণে অচেনা লোকদের সঙ্গে অযথা বন্ধুত্ব বা মিশতে যাবেন না। অননুমোদিত গাইড বা
লোকাল লোক কখনও কখনও ভ্রমণকারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কেবল বিশ্বস্ত বা
হোটেল,ট্যুর এজেন্সি দ্বারা সুপারভাইজড লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
(অফিসিয়াল ট্যাক্সি বা গাড়ি ব্যবহার করুন)
শ্রীনগর বা অন্য জায়গায় ভ্রমণ করার সময় অফিসিয়াল ট্যাক্সি, হোটেল শাটল বা
অনুমোদিত গাড়ি ব্যবহার করা নিরাপদ। রাস্তার অচেনা গাড়িতে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ হতে
পারে। আগে থেকে গাড়ি বুক করা এবং ভাড়া সম্পর্কে নিশ্চিত থাকা ভালো।
শেষ কথাঃ কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ প্রথমে কঠিন মনে হলেও আসলে সঠিক পরিকল্পনায় খুব
সহজ। কম খরচে ভ্রমণ করতে চাইলে আগে থেকে টিকিট,হোটেল বুকিং আর ভিসার কাজ সেরে
ফেলুন। দলবদ্ধভাবে গেলে খরচও অনেকটা কমে যাবে। আর একবার কাশ্মীর গেলে বুঝবেন
সত্যিই একে পৃথিবীর স্বর্গ বলা হয় কেন।
এই আর্টিকেলে কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণঃ পূর্ণাঙ্গ গাইড পড়ে
যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন এবং আমার এই
আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।



wow nc
Txn