হ্যালোইন ২০২৫ ভয়ের রাত, আনন্দের উৎসব (২য়) পর্ব
প্রথম পর্বে আমরা হ্যালোইনের ইতিহাস, সাজসজ্জা, কস্টিউম আর শিশুদের আনন্দ নিয়ে শহজভাবে আলোচনা করেছি। এবার দ্বিতীয় পর্বে জানব আরও কিছু রহস্যময় গল্প, বিশ্বজুড়ে উদজাপন, নতুন ট্রেন্ড আর কেন মানুষ হ্যালোইন এত ভালোবাসে।

ভূতের গল্প আর হ্যালোইনের রাত ঃ
হ্যালোইনের আসল মজাই হলো ভূতের গল্প শোন। অনেক বছর ধরে এ রাতকে ঘিরে নানান ভয়ের গল্প ছড়িয়ে আছে।ডাইনির গল্প, অনেকেই বিশ্বাস করে হ্যালোইনের রাতে ডাইনীরা আকাশে ঝাড়ুতে চড়ে উড়ে বেড়াইয়। তারা নাকি জাদু করে আর মানুষকে ভয় দেখায়।আত্মার ফিরে আসা, কিছু মানুষ মনেকরে এই রাতে মৃত আত্মারা ফিরে আসে। তাই কেউ কেউ খাবারের টেবিলে ইচ্ছে করে একটি চেয়ার ফেলে রাখে।অদ্ভুত হাসির শব্দ, গ্রামের লোকজন বলে হ্যালোইনের রাতে মাঝেমধ্যে শিশুদের হাসির শব্দ শোনা যাজা। অথচ সেখানে কোন শিশু থাকে না। অনেকে এটাকে ভুতের দুষ্টুমি বলে মনে করে।
এসব গল্প সত্যিই কিনা কেউ জানে না। কিন্তু এসব গল্প গুলোর কারণেই হ্যালোইনের রাত হয়ে ওঠে আরো ভয়ংকর আরো রহস্যময়।
হ্যালোইন সারাবিশ্বের মানুষ উদযাপন করেঃ
আজকাল হ্যালোইন শুধু আমেরিকা বা ইউরোপের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,সারা বিশ্বেই এটি পালন করা হয়।
আমেরিকা, এখানে হ্যালোইনের আয়োজন সবচেয়ে বড়।
মানুষ ঘর সাজায়, ট্রিক আর ট্রিট করে এবং ভয়ংকর শোভা বা পার্টিতে অংশ নেয়।
ইউরোপ, ইতিহাসের কারণে ইউরোপে হ্যালোইনের গুরুত্ব বেশি।
এখানে অনেক দুর্গ বা কাসলকে ভূতের মত সাজিয়ে উৎসব করা হয়।
এশিয়া, জাপান কোরিয়া আর ফিলিপাইনে বড় প্যারেড হয়।
সবাই রঙ্গিন ও অদ্ভুত পোশাক পরে বের হয়।
বাংলাদেশ ও ভারত, শহরের তরুণরা কস্টিউম পার্টি করে। রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে অদ্ভুত সাজসজ্জা করে। কেউ কেউ নাটক বা ছোট ছোট শো আয়োজন করে।
হ্যালোইন এখন সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আনন্দ,ভয়, আর মজার এক উৎসব হয়ে গেছে।
জনপ্রিয় কস্টিউমঃ
- হ্যালোইনের আসল মজা হল অদ্ভুত পোশাক।
- ২০২৫ সালের কয়েকটি সাজ খুব জনপ্রিয় হতে পারে-
- ভ্যাম্পায়ার দাঁত, কালো পোশা্ লাল চোখ, জম্বি, ছেড়া কাপড়, মুখে রক্তের দাগ।
- ভূত- সাদা কাপড়ে মোড়া সবচেয়ে সহজ কিন্তু ভয়ের সাজ।
- বাংলার ভূত- শাকচুন্নি, পেত্নী বা ব্রহ্মদৈত্য যা বিদেশিদের কাছে ভিন্নরকম লাগবে।
- রোবট ভূত- ভবিষ্যতের মতো সাজে প্রযুক্তি আর ভয় একসঙ্গে।
হন্টেড হাউসঃ
হ্যালোইনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হলো হন্টেড হাউস। এখানে মানুষ ইচ্ছা করেই ভয় পেতে যাই। ঘরের ভিতরে থাকে কঙ্কাল, ভূতের ছবি, হঠাৎ আরো নিভে যাওয়া আর চিৎকারের শব্দ।
ঘর সাজানোর বাড়তি আইডিয়াঃ
তুমি হ্যালোইনের জন্য ঘর সাজাতে চাও! তবে কিছু মজার আইডিয়া হল-
কুমড়ার ভিতর আলো জ্বালিয়ে ভয়ংকর মুখ কেটে দাও।
দরজায় রক্তের হাতের ছাপ আঁকো।
সেন্সর লাইট বসাও যাতে কেউ এলে হঠাৎ আলো জলে উঠে।
ভয়ংকর খাবার বানাও, যেমন রক্তের মত লাল জুস, বা কঙ্কালের মত কেক।
ছোট প্রজেক্টর দিয়ে ভাসমান ভুতের ছবি দেখাতে পারো।
কুমড়ার ভিতর আলো জ্বালিয়ে ভয়ংকর মুখ কেটে দাও।
দরজায় রক্তের হাতের ছাপ আঁকো।
সেন্সর লাইট বসাও যাতে কেউ এলে হঠাৎ আলো জলে উঠে।
ভয়ংকর খাবার বানাও, যেমন রক্তের মত লাল জুস, বা কঙ্কালের মত কেক।
ছোট প্রজেক্টর দিয়ে ভাসমান ভুতের ছবি দেখাতে পারো।
শিশুদের আনন্দ ও নিরাপত্তাঃ
শিশুদের জন্য হ্যালোইন অনেক মজার। তারা কস্টিউম পরে বাড়ি বাড়ি যাই আর মিষ্টি সংগ্রহ করে। তবে তাদের নিরাপত্তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বাচ্চাদের সঙ্গে সব সময় বড় কেউ থাকুক।
মিষ্টি দেওয়ার আগে ভালো করে দেখে নিতে হবে।
রাতে বাইরে গেলে তাদের হাতে টর্চ বা লাইট থাকা উচিত।
ভিড় জায়গায় সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
বাচ্চাদের সঙ্গে সব সময় বড় কেউ থাকুক।
মিষ্টি দেওয়ার আগে ভালো করে দেখে নিতে হবে।
রাতে বাইরে গেলে তাদের হাতে টর্চ বা লাইট থাকা উচিত।
ভিড় জায়গায় সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার হ্যালোইনঃ
- ২০২০ সালে হ্যালোইন মানেই সোশ্যাল মিডিয়ার উৎসব।
- ইনস্টাগ্রামে মানুষ কস্টিউমের ছবি শেয়ার করবে।
- টিকটকে ভয়ংকর ভিডিও চ্যানেল জনপ্রিয় হবে।
- ইউটিউবে হন্টেড হাউস ব্লগ দেখা যাবে।
- ফেসবুকে ইভেন্ট আর পার্টির আয়োজন হবে।
মানুষ কেন ভয় পছন্দ করে?
অনেকেই ভাবতে পারে, ভয় পাওয়া তো খারাপ, তাহলে মানুষ কেন হ্যালোইনে ভয় পেতে ভালবাসে?
ভয় পেলে শরীর উত্তেজিত হয় যা অনেকের কাছে মজা লাগে।
ভয় কাটিয়ে উঠলে আনন্দ পাওয়া যা।
ভয়ংকর গল্প মানুষকে কল্পনা করতে সাহায্য করে।
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে ভয় পাওয়া আরো মজা হয়।
এই কারণগুলোই হ্যালোইনের রাতকে সবাই মিলে আনন্দ করতে ভালো সময় বানায়।
হ্যালোইনের সময় সাবধান থাকাঃ
- যত মজা হোক না কেন হ্যালোইনের রাতে কিছু জিনিস মনে রাখা জরুরী।
- ভিড়ের মধ্যে ধীরে এবং সাবধানে চলা।
- শিশুদের একা বাইরে না পাঠানো।
- অপরিচিত মানুষ থেকে পাওয়া খাবার না খাওয়া।
- কুসংস্কার বা অশুদ্ধ বিশ্বাস না মানা।
- এই সাবধানতা মেনে চললে হ্যালোইনের রাত হবে নিরাপদ আর আনন্দের।
শেষ কথাঃ
হ্যালোইন শুধু ভয়ের উৎসব নয়,এটা আনন্দ সুজনশীলতা আর পারিবারিক মিলনের উৎস।
হ্যালোইন ২০২৫ হবে নতুন প্রযুক্তি, নতুন কস্টিউম আর ভয়ংকর আয়োজনের মাধ্যমে আরো আকর্ষণীয়। মানুষ ভুতের সাজে হাসে, ভয়ের গল্প শুনে, ঘর সাজাই, মিষ্টি খায়, পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়।
বারী বিডি আইটি র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url