হ্যালোইন ২০২৫ ভয়ের রাত, আনন্দের উৎসব (১ম) পর্ব
হ্যালোইনঃ নাম শুনলেই আমাদের মনে হয় ভূত, ডাইনি, লাল কুমড়া আলো, আর অদ্ভুত পোশাক। প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর, এই উৎসব পালন করা হয়। এবার আসছে হ্যালো ইন ২০২৫ যা হবে আগের চেয়ে আরো বড় আরো মজার আর কিছু ভয়ের।
হ্যালোইন কোথা থেকে এসেছে?
অনেক অনেক বছর আগে ইউরোপে কেল্টিক নামের এক জাতি ছিল, তারা সানহেইন নামের একটি উৎসব পালন করত।
তাদের বিশ্বাস ছিল ৩১শে অক্টোবর রাতে মৃত মানুষের আত্মা জীবিত মানুষের জগতে ফিরে আসে।
এবং তারা ভূত থেকে বাঁচার জন্য বড় বড় আগুন জ্বালাতো, মুখোশ পড়ত্ ভয় দেখানোর মত পোশাক পড়তো।
পরে খ্রিস্ট ধর্মে এক নাভম্বর কে করা হলো ওয়াল সেন্টস ডে বা সাধুদের দিন।
তার আগের রাত ৩১শে অক্টোবর পরিচিত হওয়ায় অল হ্যালোস ইভ নামে।
সময়ের সাথে আথে সে নাম ছোট হয়ে হয়ে হ্যালোইন হয়ে যাই।
কেন হ্যালোইন কে ভয়ংকর বলা হয়?
হ্যালোইন মানেই ভয়। কারন এই রাতে মৃতদের আত্মা নাকি ফিরে আসে, অন্ধকারে ঘুরে বেড়াই অশুভ শক্তি। মানুষ ভূত আর ডাইনির সাজে সেজে উঠে, তবে ভয় পেলেও মানুষ আনন্দ করে।
সবাই অদ্ভুত পোশাক পরে, ঘর সাজাই, মজা করে, আর ভয়কে উৎসব মনে করে পালন করে।
হ্যালোইন ২০২৫ এ কি নতুন কিছু হবে?
- প্রতি বছর হ্যালোইনে নতুন কিছু যোগ হয়।
- ২০২৫ সালেও কয়েকটি মজার বিষয় দেখা যাবে।
- এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে নতুন কস্টিউম বানানো।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দিয়ে অনলাইনে হন্টেড হাউস ভবন বানানো।
- টিকটক, ইউটিউ্ ফেসবুকে, ভিডিও চ্যানেলে ভয়ানক কিছু বানিয়ে মানুষকে দেখানো।
- বিশাল বিশাল কুমড়া দিয়ে উৎসব বা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা হবে।
- ভূতের গল্পের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হবে।
ভয়ংকর কিছু গল্পঃ
হ্যালো ইংরেজি রে অনেক পুরনো পুরনো গল্প আছে।
যেমন-👇
কালো কালো বিড়াল- বলা হয় কালো বিড়াল ডাইনির সহকারী। তাই হ্যালোইনের রাতে কালো বিড়াল দেখা মানেই বিপদ।
হেডলেস হর্সম্যান- মাথাহীন এক ঘোড়ার গল্প, যে নাকি এ রাতে বের হয়।
কুমড়ার আলো- কুমড়ার ভিতরে আলো জ্বালালে ভূতেরা ঘরে ঢুকতে পারে না, বলে বিশ্বাস করা হয়।
হ্যালোইন ২০২৫ কস্টিউমঃ
হ্যালোইনের আসল মজা হল পোশাক বা কস্টিউমে।
- ২০২৫ সালেও জনপ্রিয় হতে পারে যে বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে।
- যেমন -👇
- রোবট ভুত।
- সাইবার ডাই।
- ভুতুড়ে হ্যাকার।
- ভ্যাম্পায়ার বা জম্বি।
- বাংলার লোককথার ভূত, যেমন শাকচুন্নি বা পেত্নী।
আরোও পড়ুন শবে মেরাজের ইতিহাস ও পালনীয় আমল সমূহ ২০২৫
ঘর সাজানোর টিপসঃ
হ্যালোইনের জন্য ঘর সাজানো খুব সহজ ।
যেমন -👇
দরজায় কঙ্কাল বা মাকড়সার জাল ঝুলিয়ে দাও।
জানালায় ভুতের ছবি লাগাও।
কমলা আর কালো আলো ব্যবহার কর।
কুমড়ার ভীতর ভয়ংকর মুখ কেটে আলো জ্বালাও।
ভয়ংকর শব্দ বাজাও, যেমন- হাওয়া বয়ে যাওয়া, বা কুকুরের ডাক, বিড়ালের ডা্ প্যাঁচার ডাক, ইত্যাদি ইত্যাদি।
শিশুদের আনন্দঃ
শিশুরা হ্যালো ইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে, তাদের জন্য আছে ট্রিক আর ট্রিট।
তারা ভয়ংকর পোশাক পড়ে বাড়ি বাড়ি যাই।
সবাই তাদের মিষ্টি বা চকলেট দেয়।
যদি না দেয় তবে শিশুরা তাদের সাথে মজার মজার দুষ্টামি করে।
২০২৫ সালে শিশুদের জন্য নতুন নতুন অনলাইন প্রতিযোগিতা আর ক্যান্ডি ট্র্যাকার অ্যাপ থাকবে।
হ্যালোইন কেন এত জনপ্রিয়?
হ্যালো ইন আজ সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় কারণ হলো
মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে
কস্টিউম পড়ে আনন্দ করা যায়
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো যায়
ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা যায়
হ্যালোইনে কি সাবধানতা দরকারঃ
মজা করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত
যেমন -👇
বেশি ভিড়ে সাবধানতা অবলম্বন করা
শিশুদের একা একা বাইরে যেতে না দেওয়া
রাস্তা পার হওয়ার সময় সতর্ক থাকা
ভুতুড়ে কুসংস্কারে বিশ্বাস না করা বা না জড়ানো
শেষ কথাঃ
হ্যালোইন- আসলে একসাথে ভয় আর আনন্দের উৎসব।
অনেক পুরনো ইতিহাস আছে এর সঙ্গে।
আবার আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুন জনপ্রিয়।
হ্যালোইন ২০২৫ হবে মজা, রং, আর একটু ভয় মেশানো এক বিশেষ রাত।
এই দিনে মানুষ ভয়ংকর সাজ পড়ে হাসে, খেল্ গল্প করে।
আর বন্ধু পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়।
বারী বিডি আইটি র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url