খরগোশের অপকারিতা:

 

খরগোশের অপকারিতা: জানুন খরগোশ পালনের নেতিবাচক দিক

খরগোশ অনেকের কাছেই পছন্দের প্রাণী। এরা দেখতে সুন্দর, নরম লোমশ আর নিরীহ স্বভাবের জন্য দ্রুত মানুষের মন জয় করে নেয়। কিন্তু খরগোশ পালনের কিছু অপকারিতা বা নেতিবাচক দিক রয়েছে, যেগুলো আগে থেকে জানা জরুরি।  



১. দ্রুত বংশবৃদ্ধি

খরগোশ খুব দ্রুত প্রজনন করে। অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো বাচ্চা জন্ম দেয়। নিয়ন্ত্রণ না করলে এরা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে জায়গা, খাবার ও খরচের সমস্যা তৈরি করে। 


২. খাবার ও যত্নের ঝামেলা

খরগোশকে নিয়মিত সবুজ ঘাস, সবজি আর পরিচ্ছন্ন পানি দিতে হয়। খাবারে সামান্য অব্যবস্থা হলেই এরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া নিয়মিত খাঁচা পরিষ্কার না করলে রোগ ছড়ায়।  


৩. রোগবালাই ছড়ানোর ঝুঁকি

খরগোশে অনেক সময় চর্মরোগ, ফাঙ্গাস বা অন্যান্য জীবাণু দেখা দিতে পারে, যা মানুষের শরীরেও সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশুদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।  


আরও পড়ুন:   ডোমর বালু:


৪. ক্ষতি করার স্বভাব

খরগোশ খুবই কৌতূহলী প্রাণী। এরা দাঁত দিয়ে কিছু চিবিয়ে দেখতে ভালোবাসে। ফলে ঘরের বৈদ্যুতিক তার, আসবাবপত্র, বইপত্র ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  


৫. বেশি খরচ ও সময়ের প্রয়োজন

খরগোশ দেখতে ছোট হলেও এদের যত্নে সময় ও খরচ অনেক লাগে। নিয়মিত ভেটেরিনারি চিকিৎসা, ভ্যাকসিন ও সঠিক খাবার জোগাতে না পারলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  


শেষ কথা 

খরগোশ অবশ্যই একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় প্রাণী, তবে এদের পালনে শুধু মজা নয়—অনেক ঝামেলাও আছে। তাই খরগোশ পালনের আগে এর অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। সঠিক যত্ন নিতে পারলে খরগোশ ভালো সঙ্গী হতে পারে, তবে অবহেলা করলে উল্টো সমস্যাই বাড়াতে পারে।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বারী বিডি আইটি র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url