কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় মজার কথোপকথন...!

কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় মজার কথোপকথন


বাংলাদেশে যতগুলো আঞ্চলিক ভাষা আছে, তার ভেতরে কুমিল্লার ভাষা আলাদা জায়গা দখল করে আছে। যারা কুমিল্লার বাইরে থাকে, তাদের কাছে এই ভাষা একটু মিষ্টি আবার একটু হাস্যকরও লাগে। কুমিল্লার মানুষ যখন একসাথে বসে আড্ডা মারে, তখন কথার ভঙ্গিমা আর টোন শুনে যে কেউ হাসি চাপতে পারে না।



পেজ সূচিপত্র

কুমিল্লার ভাষার টুকিটাকি বৈশিষ্ট্য

বাজারে দেখা হলে মজার ছলে কথোপথনে

কেন এই ভাষা এত প্রিয়?

কুমিল্লার ভাষার টুকিটাকি বৈশিষ্ট্য

 কথার শেষে একটু “রে” বা “রো” জুড়ে দেয়। যেমন_ কইরো না রে।  সছস”, “যাইতাছস”, “খাইতাছস” টাইপের শব্দে এক ধরনের মিষ্টি টান থাকে। সাধারণ শব্দও একটু ঘুরিয়ে বলে। যেমন, “খাইবি নি?” হয়ে যায় “খাইবি নি রে? 


বাজারে দেখা হলে মজার ছলে থোপকথন 

বারিক: আরে হালাইয়া! কই যাইতাস? 
আনোয়ার: বাজারে যাইতেছি, মাছ কিনমু। 
বারিক: মাছের দাম জানস? দেইখা তো মাথা নষ্ট হইয়া যায়! 
আনোয়ার: হ, গতকাল তরমুজের দামে ইলিশ বেচছে!
বারিক: তয় ভালো দামে পাইলে আমার লাগিও এক কেজি নিয়াস, কিন্তু হাড় কম থাকলে ভালো হয়! 
আনোয়ার: ভাই, কুমিল্লার বাজারে হাড় ছাড়া মাছ কই পাস? 


আড্ডায় কুমিল্লার ছোঁয়া

বন্ধুদের আড্ডা জমে ওঠার অন্যতম কারণ এই আঞ্চলিক ভাষা। একে অপরকে খোঁচা মারা, মজার ছলে গল্প কর_সব কিছুতেই কুমিল্লার ভাষা এক আলাদা আনন্দ যোগ করে।

যেমন—  

কইরা কী লাভ হইব রে? তোরে দেইখা তো মনে হইতেছে চাকরি পাইলে দেশের জিডিপি বাড়ি যাইব। ওইডা তোরে মানাইব না, তুই চা-দোকান খুইললেই হিট হইয়া যাবি। 

কেন এই ভাষা এত প্রিয়?

  • সরল ও মাটির গন্ধমাখা টোন।
  • একবার শুনলে মনে থাকে।
  • গল্প নাটক বা মজার ভিডিওতে ব্যবহার করলে দর্শক খিলখিলিয়ে হাসে। 

শেষ কথা 

কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষা শুধু কথা বলার মাধ্যম না, বরং একটা হাসিখুশি পরিবেশ তৈরির হাতিয়ার। মিষ্টি টানে বলা কয়েকটা কথা যে কাউকে হাসাতে পারে। তাই কুমিল্লার ভাষা শিখতে পারলে শুধু কুমিল্লার মানুষ না, আশেপাশের সবাইকেই আপন মনে হবে....।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বারী বিডি আইটি র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url