আপনার জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পাবেন এই গল্পে......

আপনার জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পাবেন এই গল্পে

জীবন: এক অশ্রু আর হাসির মিলনক্ষেত্র জীবন, এই শব্দটার ভেতর কত না রঙ লুকিয়ে আছে! কোথাও আনন্দের ঝলক, কোথাও ব্যথার আঁচড়। কখনো মনে হয়— আহা! জীবন কত সুন্দর!  আবার কখনো মনে হয়—এত কষ্ট কেন?আমরা সবাই এক অদ্ভুত নাটকের চরিত্র, যেখানে স্ক্রিপ্ট কেউ জানে না। কেউ হয়তো জন্ম থেকেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে আসে, আবার কেউ আসে খালি হাতে, শুধু স্বপ্ন নিয়ে। শৈশব: অবুঝ আনন্দের দিনগুলো মনে আছে শৈশবের কথা? হাতের কাদা দিয়ে বানানো খেলনা, মাটিতে আঁকা গোল, বৃষ্টিতে ভেজা মাঠ, তখন সুখ মানে ছিল খুব ছোট্ট কিছু একটা টক-মিষ্টি আম, বা নতুন জামার গন্ধ। তখন জীবন ছিল সহজ, সরল আর নির্ভেজাল। কিন্তু বড় হতে হতে শিখে যাই—জীবন শুধু খেলা নয়, এখানে হার-জিত আছে, ব্যথা আছে, সংগ্রাম আছে।

সংগ্রাম: জীবনের পরীক্ষার খাতা

প্রতিদিন আমরা অজস্র ছোট-বড় লড়াই লড়ি। কখনো পেটের ক্ষুধা, কখনো মনের ক্ষুধা—স্বপ্নের ক্ষুধা। কেউ কষ্ট চেপে হাসি দেখায়, কেউ আবার কান্না লুকাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু জানেন? এই কষ্টগুলোই আমাদের গড়ে তোলে, আমাদের মানুষ বানায়।যেমন লোহা আগুনে পুড়ে শক্ত হয়, তেমনি মানুষও কষ্টে পুড়ে শক্ত হয়।

ভালোবাসা: জীবনের আসল রঙ টাকা দিয়ে হয়তো বাড়ি কেনা যায়, কিন্তু ঘর কেনা যায় না। টাকা দিয়ে হয়তো বিছানা কেনা যায়, কিন্তু কেনা যায় না। টাকা দিয়ে হয়তো লোক জড়ো করা যায়, কিন্তু ভালোবাসা কেনা যায় না। যারা আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে, তারা রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সব সময়েই পাশে থাকবে। তাদের হারিয়ে ফেলবেন না—কারণ একবার হারালে আর ফেরত পাবেন না।

শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে

একদিন আমাদের সবার যাত্রা শেষ হবে। তখন হয়তো কেউ কাঁদবে, কেউ স্মৃতি মনে করে হাসবে। প্রশ্ন একটাই থাকবে— আমি কি আমার জীবনটা ঠিকভাবে বেঁচেছি? তাই এখন থেকেই প্রতিটি সকালকে নতুন সুযোগ ভাবুন, প্রতিটি মুহূর্তকে আলিঙ্গন করুন। কারণ জীবন একটাই—এবং তা খুবই ছোট।

গল্প: শেষ চিঠি 

রফিকের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। কখনো সে ছিল গ্রামের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়, হাসিখুশি, বন্ধুদের প্রাণের মানুষ। বিয়ে করেছিল ভালোবাসার মানুষ লাইলীকে। দু’জন মিলে স্বপ্ন দেখেছিল ছোট একটা ঘর, আঙিনায় ফুল, আর সন্তানদের হাসি।
কিন্তু জীবন তো সবসময় মনের মতো চলে না। এক এক করে সংসারের খরচ, সন্তানের পড়াশোনা, আর নিজের অসুস্থতা—সব মিলিয়ে রফিকের হাসি কমে আসতে লাগল। বন্ধুরা একে একে দূরে চলে গেল। দিনশেষে সে শুধু লাইলীর কাঁধে মাথা রেখে বলত, তুমি আছো বলেই তো আমি বেঁচে আছি।
তারপর একদিন হঠাৎ লাইলী অসুস্থ হয়ে পড়ল। চিকিৎসা করানোর মতো টাকা নেই। গ্রামের মানুষ কিছু সাহায্য করল, কিন্তু তাতেও কিছু হলো না। শেষ রাতে, লাইলী রফিকের হাতে একটা চিঠি দিয়ে বলল আমার জন্য কেঁদো না। আমি শুধু চাই তুমি আবার হাসো। জীবন তোমার, বেঁচে থেকো।
লাইলী চলে গেল চিরতরে।চিঠিটা আজও রফিকের বালিশের নিচে থাকে। প্রতিদিন সকালে সে চিঠিটা পড়ে, গভীর শ্বাস নেয়, আর নিজের বাগানের ফুলে পানি দেয়।  কারণ সে জানে—যে জীবন একদিন শেষ হবে, তাকে সুন্দর করে বাঁচানোই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
এই গল্প আর ভাবনাগুলো আপনাকে জীবনের মূল্য বুঝতে সাহায্য করবে—আনন্দ, ব্যথা, ভালোবাসা আর হোক সংগ্রামের মাঝেও জীবনকে আলিঙ্গন করতে শিখুন......।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বারী বিডি আইটি র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url